সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংসদে গণশিক্ষামন্ত্রী

২১ হাজার প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আমাদের দেশের ২১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব ঘাটতি পূরণে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি দেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে পিএসসির মতামত লাগবে। শিগগিরই এসব স্কুলে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দিয়ে সে পদ পূরণ করা হবে।  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হওয়ার কারণে এটা এখন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু পিএসসিতে চাহিদা পাঠানোর পর নতুন জাতীয়করণকৃত স্কুলের যারা প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন না, তারা একটা মামলা করেছেন। এ কারণে আমরা পিছিয়ে আছি।  মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, প্রধান শিক্ষকবিহীন বা নেতৃত্ববিহীন স্কুল ভালো চলে না। সেজন্য আমরা কারেন্ট চার্জ (চলতি দায়িত্ব) দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। শিগগিরই সারা দেশে যেসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই, সেগুলোতে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে। এর মধ্যে যাদের নাম প্রস্তাবিত আছে, তাদের চলতি দায়িত্ব দিয়ে পূরণ করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ শিগগিরই : সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যালয়হীন গ্রামে ১৫০০ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে মামলার কারণে সেসব স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক নিয়ে এসব স্কুল চালানো হচ্ছে। অচিরেই প্রতিটি স্কুলে চারজন করে অর্থাৎ ১৫০০ স্কুলে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারব। এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।  মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) এর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব স্কুলের ক্লাস রুমের সংকট রয়েছে, নিড ভেইজড প্রকল্পের আওতায় চাহিদার ভিত্তিতে তা পূরণ করা হবে। এজন্য ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫ হাজার ক্লাসরুম করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

আরও এক হাজার স্কুল করার চাহিদা : সামসুল হক চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়হীন গ্রাম আর এখন নেই। মাত্র চারটি বাকি আছে। তবে চর ও হাওর অঞ্চলে কিছু গ্রামে বিদ্যালয় নেই। এজন্য নতুন করে আরও এক হাজার স্কুল করার চাহিদা দিয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় চর ও হাওর অঞ্চলে বিদ্যালয় করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর