সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের হুমকি

অনশন করবেন সিএইচসিপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাবি মেনে না নেওয়ায় আজ থেকে সারা দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। 

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের আহ্বায়ক আবদুল খালেক মিয়া গতকাল এ ঘোষণা দেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের ছয়টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জোট বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল ‘আমরণ অনশন’-এর ১৪তম দিন কাটিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর আগে তারা চার দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাতে সাড়া না পেয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এবার সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিলেন তারা। শিক্ষকরা দাবি করেন, টানা আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১৪২ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবারও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। অনেকে আবার শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়ায় দুজন শিক্ষক ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। সংগঠনের মহাসচিব কামাল হোসেন বলেন, শর্ত অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের কথা থাকলেও তা হয়নি। তালিকাভুক্ত থাকার পরও নানা কৌশলে বাতিল করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না। জাতীয়করণ আদায়ে আমরা রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাস্তায় পড়ে থাকবেন। তবে আন্দোলনের কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে না বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তার পাশে গত ১০ জানুয়ারি থেকে তারা বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি ও ১৫ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন।

কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের আমরণ অনশনের হুমকি : আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে চাকরি জাতীয়করণ না করলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন করবেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সহসভাপতি সুমন মাতুব্বর। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আমরা অবস্থান কর্মসূচি করছি। আজকে সারা দেশ থেকে প্রায় ৭-৮ হাজার  প্রোভাইডার অংশ নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের পর আবার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়। এগুলো পরিচালনায় নিয়োগপ্রাপ্তরা রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর