বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) রংপুর বাফার গুদাম থেকে সরবরাহ করা ইউরিয়া সারের প্রতিবস্তায় ৪-৫ কেজি করে কম সার পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিসিআইসির ডিলাররা অভিযোগ করেন, ৫০ কেজির দামে সার কিনে বস্তায় ৪-৫ কেজি কম পাওয়ায় কৃষকরা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। আর কৃষকের কাছে আস্থা হারাচ্ছেন ডিলাররা। এনিয়ে কৃষকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত বাক-বিতণ্ডা হচ্ছে ডিলারদের। নির্ধারিত ওজনে সার সরবরাহ করা না হলে বাফার গুদাম থেকে সার উত্তোলন না করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) রংপুর ইউনিট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর বাফার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকুল মিয়া বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা ইউরিয়া সার দেশের বিভিন্ন বন্দরে বস্তাজাত করা হয়। বিএফএ রংপুর ইউনিটের নেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সামনেই বেশকিছু বস্তা ওজন করা হয়। প্রতিবস্তায় ৫০ কেজির স্থলে ৪৫-৪৬ কেজি সার পাওয়া যায়। বিষয়টি বিসিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর এখন যে সার আসছে তার ওজন সঠিক রয়েছে। বিএফএ রংপুর ইউনিট ও বাফার গুদাম সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবস্তায় ৫০ কেজি ইউরিয়া সার থাকে।