শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

গ্যাস সংকটে দিশাহারা নগরবাসী

সেচ মৌসুমের কারণে সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিন দিন গ্যাস সংকটের কারণে দিশাহারা হয়ে পড়ছে রাজধানীবাসী। বিশেষ করে বাসাবাড়ির গ্যাস সংকট এতই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে, অনেক এলাকায় গৃহিণীরা তাদের রান্নার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছেন। আর সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ এতই কম যে, গাড়িচালকদের গ্যাস নিতে টানা কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকে আবার কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ গ্যাস না পেয়ে দিনে দুবারও গ্যাস নিতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানায়, সেচ মৌসুমের কারণে গ্যাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আশা করছেন সেচ মৌসুম শেষে গ্যাসের সংকট কমে আসবে। গ্যাস সংকটের অভিযোগ জানিয়েছেন রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, বনশ্রী, রামপুরা, মোহাম্মদপুর এবং পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এ সমস্যার ফলে অনেক এলাকায় গৃহিণীদের দিনের বেলা ঘরের কাজকর্মের আগের সময়সূচিতেও পরিবর্তন এসেছে। তারা জানান, সকালে গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকলেও সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ এতই কম থাকে যে তাতে রান্নার কাজ করা সম্ভব হয় না। এ জন্য দুপুরের খাবার বিকালে আর রাতের খাবার মধ্যরাতে রান্না করতে হচ্ছে অনেক গৃহিণীকে। গ্যাস সংকটের জন্য বিরক্ত অনেক গৃহিণী আবার সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার শুরু করেছেন।     

এর বাইরে গ্যাস সংকটের চাপ পড়ছে রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোর ওপরও। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার জন্য নগরীর গ্যাস স্টেশনগুলোতে প্রাইভেট কারের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। গ্যাস স্টেশনগুলোর মালিকরা জানান, কয়েক দিন ধরেই গ্যাসের চাপ কম। এর ফলে গ্যাস নিতে গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। চাপ কমে যাওয়ায় গাড়িতে গ্যাস নিতে আগের চেয়ে এখন সময়ও বেশি লাগছে। সম্প্রতি রাজধানীর মগবাজার মোড়, কুড়িল বিশ্বরোডসহ বেশ কয়েকটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় গাড়ির দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর