শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

দলাদলিতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

দলাদলিতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ

চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ দলাদলিতে ব্যস্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডার-বাণিজ্য কিংবা পান থেকে চুন খসলেই অভ্যন্তরীণ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। কখনো কখনো তা খুনোখুনিতে রূপ নিচ্ছে। গত ছয় মাসে মহানগরী ও জেলায় ছোট-বড় মিলে শতাধিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এই অবস্থায় ক্রমান্বয়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো অপরাধীর স্থান নেই। কারও বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হলে তাত্ক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন ও ক্রাইম) আমেনা বেগম বলেন, ‘দলীয় বিবেচনায় নয়। যে অপরাধ করে তাকে অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত করে পুলিশ। সব অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে রাজনৈতিক যে সব ঘটনা ঘটছে তার বেশির ভাগই ব্যক্তি আক্রোশ থেকে সৃষ্ট। এসব ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোনো বিষয় সম্পৃক্ত নয়।’

জানা যায়, গত ছয় মাসে কেবল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগে অর্ধশত সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে কয়েকটি আবার খুন ও খুনের চেষ্টার মতো ঘটনা রয়েছে। ২৬ মার্চ নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন মধ্য হালিশহরে পূর্ব বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারীদের হাতে খুন হন যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ওরফে মহির। একই দিন বাঁশখালীতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের ছুরিকাঘাতে আহত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ। ২৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা তাদের থামতে অনুরোধ করলেও সংঘাতের কারণে সম্মেলন স্থগিত করে সভাস্থল ত্যাগ করেন নেতারা। ১৬ জানুয়ারি নগরীর কোতোয়ালির জামাল খান মোড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী আদনান ইসফার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর