আগামী অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর আবারও মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, এই ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কীভাবে আদায় করবে, সেটি মালিকদের ব্যাপার। গতকাল সন্ধ্যার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদপত্রের সম্পাদক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৈঠকে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার যে কোনো মূল্যে ভ্যাট বসানো হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিকদের কোনো কথা শুনব না। তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কীভাবে ভ্যাট আদায় করবে, সেটি তাদের বিষয়।’ গত অর্থবছর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথমবারের মতো ভ্যাট আরোপ করেছিল সরকার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পড়ে তা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। সংবাদপত্র শিল্পে ব্যবহৃত নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর বিদ্যমান কর ও ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, বর্তমানে নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫ শতাংশ, ভ্যাট ১২ ও ৫ শতাংশ কর রয়েছে। এর মধ্যে এআইটি ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখে ভ্যাট ও কর পর্যালোচনা করে সমন্বয় করা হবে। সব ক্ষেত্রেই করপোরেট কর হার কমানো হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল অনেক কম খরচে দেখা যায়। আর বাংলাদেশের চ্যানেল ভারতে অনেক দাম দিয়ে দেখতে হয়। এটা কোটি আর লাখের মতো। আগামী বাজেটে এটি সমান করা হবে। বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো যাতে ভারতে দেখা যায় সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের মধ্যে দেশের ক্যাবল টিভি ডিজিটালাইজড করা হবে। সেজন্য আগামী বাজেটে সময়াবদ্ধ কাঠামো ঘোষণা করা হবে। আগামী অর্থবছরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, ফেসবুক এবং গুগল অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করছে। সেটা নিয়ে মিনি কেবিনেটে আলোচনা করা হয়েছে। এ খাতের আয়ের ওপর ট্যাক্স বসানো হবে আগামী বাজেটে।