হলফনামায় তথ্য গোপন নিয়ে জটিলতা শেষ হতেই খুলনায় প্রচারণায় নেমে পড়েছেন বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা। গতকাল ছুটির দিনে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন দুই প্রার্থী। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের শঙ্কা থাকায় ঘরোয়া বৈঠক, সাংগঠনিক-বর্ধিত সভা, মতবিনিময় সভার আড়ালে চলছে এসব প্রচারণা। আর এসব সভায় নাগরিক সমস্যার সমাধান, খুলনার উন্নয়ন দাবি, জাতীয় ইস্যু, জলাবদ্ধতা দূরসহ নানা আশ্বাস দিচ্ছেন প্রার্থীরা। খুলনায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও নগর কমিটির সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এদিন নগরীতে বাগেরহাট জেলা কল্যাণ সমিতির মতবিনিময় সভা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভা, দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিনিধি সভা, ’৮০ ও ৯০ দশকের ছাত্রলীগ নেতাদের মিলনমেলা ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রমিক লীগের সভায় বক্তৃতা করেন। এ সময় তিনি খুলনার জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান। তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘আমি সিটি মেয়র থাকাকালে বিভিন্ন প্রজেক্ট রেখে এসেছি। প্রজেক্টগুলো কী অবস্থায় আছে আমি দেখব। যদি মানসম্মত না হয়, পুনরায় তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। আর নতুন নতুন নাগরিক সেবা চালু-জলাবদ্ধতা দূর করব। বিশেষ করে আমি মেয়র হলে আর যাই হোক খুলনা শহর পরিচ্ছন্ন রাখব।’ অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলের নগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল সকালে বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ডে ও বিকালে ২, ৮, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি বিজয়ী হলে আবারও গ্রিন-ক্লিন শহর গড়ার আশ্বাস দেন। নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই। মশক মুক্ত, ড্রেন পরিষ্কার, রাস্তাঘাট ক্লিন এবং গাছ দিয়ে সাজানো একটা শহর গড়তে চাই। আর জনগণের বিনোদনের জন্য কিছু করতে চাই।’ তবে নাগরিক নেতারা মনে করেন, খুলনার ভোটাররা আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন। তারা খুলনা মহানগর তথা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচন বিশ্লেষক ও বেসরকারি সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেন প্রত্যেক প্রার্থী। তারপর যখন বিজয়ী হন তারা এই বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখেন না। যেজন্য নাগরিক সেবাগুলো আমরা খুব বেশি পাই না। আমার মনে হয়, এবারের নির্বাচনে ভোটাররা এই বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন। এবং আমরা চেষ্টা করব প্রার্থীদের সঙ্গে দরকষাকষি করার।’