চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণের খাঁচায় এসেছে নতুন অতিথি। গতকাল দুপুরে একমাত্র মায়া হরিণী একটি শাবকের জন্ম দেয়। নতুন অতিথি আগমনের মাধ্যমে আগের তিনটিসহ এখন মোট চারটি হলো। বাংলাদেশে সবচেয়ে ছোট জাতের হরিণ হচ্ছে মায়া। চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে আহত অবস্থায় মিরসরাই থেকে এক ব্যক্তি একটি স্ত্রী মায়া হরিণ এনেছিলেন। আমরা একে সুস্থ করে আগে থেকে থাকা দুটি পুরুষ মায়া হরিণের খাঁচায় রাখি। একপর্যায়ে এটি গর্ভধারণ করে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে একটি শাবক জন্ম দেয় হরিণটি। তবে সেটি পুরুষ না স্ত্রী তা জানতে এক সপ্তাহ লাগবে।’ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের একমাত্র এই চিড়িয়াখানায় চিত্রা, সাম্বার, মায়া— মোট তিন প্রজাতির হরিণ আছে। এর মধ্যে চিত্রা চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আছে। বর্তমানে মোট চিত্রা হরিণ আছে ১২টি। আর ২টি সাম্বার নারী হরিণ আছে। এগুলো ২০০৫ সালে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সংযোজন করা হয়। ২০১৫ সালের দিকে ৩টি মায়া হরিণ আনা হয় এই চিড়িয়াখানায়। নতুন শাবকসহ বর্তমানে মায়া হরিণের সংখ্যা হলো ৪টি।

চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণ ১টি শাবক জন্ম দিয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে মায়া হরিণের সংখ্যা ৪টি হলো। তা ছাড়া বর্তমানে চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণ ছাড়াও আরও দুই প্রজাতির হরিণ আছে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে চিড়িয়াখানায় সংযুক্ত হবে ৪টি ক্যাঙ্গারু। ইতিমধ্যে ক্যাঙ্গারু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান ও হাউস তৈরির কাজ চলছে। পাশে তৈরি করা হয়েছে গাইডওয়ালও।’