বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ভয়াবহ ইঙ্গিত বহন করে। ওবায়দুল কাদের বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে, এখানে কারও হাত নেই।’ গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্মমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্যে প্রমাণিত হলো যে, সত্যি সত্যিই বিএনপি চেয়ারপারসনের জীবন নিয়ে একটা গভীর চক্রান্তে লিপ্ত।

তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা বার বার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। শারীরিকভাবে অসুস্থ দেশনেত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে কারাফটকে গেলেও তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়ার হাঁটু ও পায়ের ব্যথা আরও বেড়ে গেছে। তাঁর ডান চোখেও প্রচণ্ড ব্যথা। লাল হয়ে গেছে। পুরনো ভবনের স্যাঁতসেঁতে একটি কক্ষে তিনি নানা শারীরিক সমস্যার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে একদিকে মশার তীব্র উপদ্রব, অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে তাঁকে এক অবর্ণনীয় কষ্টে রাখা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব স্পষ্ট ভাষায় বলেন, অবিলম্বে বেগম জিয়ার ইচ্ছানুযায়ী রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, অন্যথায় জনগণের রুদ্ররোষ থেকে কেউই রেহাই পাবে না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের গড়িমসি সহ্য করা হবে না।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করাটাই ছিল যেন মূল টার্গেট। সেজন্যই তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে।