সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এ অবস্থায়ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড়ে নগরজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রায় ২৪ হাজার ভোটে চোখ রেখে মাঠে রয়েছেন তারা। সিসিকের আগামী নির্বাচনে এসব তরুণ ভোটারই ‘মূল ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করবেন বলে মনে করছেন প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুলাই মাসের শেষদিকে সিলেট সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের পর পরই সিলেট সিটিতে নির্বাচন নিয়ে ইসি প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়ার দিকে চেয়ে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে নীরবেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মূল টার্গেট ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া তরুণ ২৪ হাজার ভোটার।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন যুক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৮ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১১০ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৯০৮ জন। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সিসিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। নতুন যুক্ত হওয়া ওই ২৪ হাজার ভোটার নিয়ে বর্তমানে সিসিকে মোট ভোটার তিন লাখ ১৫ হাজার ৬৪ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৩ জন নারী ভোটার। হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, সিলেট সিটির ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৬৮ জন। এ ছাড়া নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে কম ৬ হাজার ৬১০ জন ভোটার রয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের পরবর্তী নির্বাচনে ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন ভোটার তথা তরুণ ভোটাররাই জয়-পরাজয়ের নির্ধারক হিসেবে কাজ করবেন। এই বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটার যে প্রার্থীর দিকে ঝুঁকবেন, সে প্রার্থীর পাল্লা ভারী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।