খুলনা সিটি নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে থাকা অবস্থায় গতকাল সকাল থেকে হঠাৎ প্রচারণাসহ সব ধরনের গণসংযোগ বন্ধ করে দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ২১ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের জের ধরে তিনি এ পদক্ষেপ নেন। তবে দুপুর থেকে তিনি আবারও নির্বাচনী তৎপরতায় নেমে পড়েন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী দাবি করেন, নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে সরকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তবে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের নির্বাচনী সমন্বয়কারী এস এম কামাল হোসেন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তালুকদার আবদুল খালকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় মঞ্জু নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছেন। জানা গেছে, পুলিশ বুধবার গভীর রাতে মহানগরীর গোবরচাকায় নিজ বাড়ি থেকে আটক করে মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদকে। এর আগেও কয়েকজনকে আটক করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপি ভোর থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত সাময়িকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। পরে মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরাতে ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচনকে দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলন হিসেবে নিয়েছে। হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতার হলেও বিএনপি এই নির্বাচন থেকে সরে যাবে না। বরং ওই গ্রেফতারের প্রতিবাদে একদিকে নির্বাচন করবে, অপরদিকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আবারও গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতারা।
সিইসির বৈঠক বর্জনের হুমকি : এদিকে অবিলম্বে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান বন্ধ না হলে আগামী ৬ মে সিইসির বৈঠক বর্জনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। দলের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আমরা বলেছি সিইসি যখন খুলনায় আসবেন, তখন যেন এ ধরনের সংকটের সমাধান করে তিনি খুলনায় আসেন।’