শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

টেলিভিশনের জন্য ব্রডকাস্টিং আইন আসছে : ইনু

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ভারত সফররত তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গতকাল জানালেন— সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রেখেই বাংলাদেশ সরকার নতুন ব্রডকাস্টিং আইন প্রবর্তন করছে। তিনি এও বলেন, ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম এখন একটা চ্যালেঞ্জ হলেও এটা একটা নতুন সুযোগ। যাতে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদবিরোধী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লাগু করবে শিগগিরই। বাংলাদেশের মন্ত্রী দিল্লির তাজপ্যালেস হোটেলে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘এশিয়া মিডিয়া সম্মেলন’-২০১৮তে অংশ নিতে এসেছেন। সকালে সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন ভারতের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বাংলাদেশের মন্ত্রীর ভাষণের সময়েই ভারতের তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ মাঝপথে বলে উঠেন, ‘বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রেখে এক নজির সৃষ্টি করেছে। এখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে বলেন যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নত হয়েছে সেই জায়গায় তাদের থেকে যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল তাদের হাল শোচনীয় হয়েছে।’ পরে দুপুরে ভারতের মন্ত্রী বাংলাদেশের মন্ত্রীসহ অন্য আরও দুই মন্ত্রীকে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়ন করেন। সেই সময় সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়। বাংলাদেশের মন্ত্রী যখন নিজের বয়স জানিয়ে বলেন, ‘আমার এখন একাত্তর।’ তখন স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘আমার জন্মই তো ১৯৭৩ সালে।’ এই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মন্ত্রী ইনুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ইনু বলেন, ডিজিটাল মিডিয়ার প্রসার ঘটলেও এখনো একটা বৈষম্য রয়ে গেছে।

ইনু বলেন, ‘২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তথ্য জানার আইন বা আরটিআই লাগু করে। তাতে সরকার ব্যতীত সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং বিদেশি অনুদানপ্রাপ্ত সংস্থার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ তথ্য জানতে পারেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন চালু করছে। এবং বর্তমানের আইসিটি আইনকে সংশোধন করা হচ্ছে। এই সময়ে তিনি টেলিভিশনের জন্য একটি ব্রডকাস্টিং আইন প্রবর্তনেরও ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত। সম্মেলন শেষে একটি ঘোষণাপত্র জারি হবে। তাতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর