মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

গাজীপুরে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীর সভা

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঘরোয়া প্রচারণায় গতকাল ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এ সময় তারা নিজ নিজ বাসভবনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। তারা নির্বাচনের নানা কৌশল নিয়ে নেতা-কর্মীদের দিক নির্দেশনা দেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম সকালে কাশিমপুর ও গাছা এলাকার চারটি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তিনি বলেন, কীভাবে নৌকার পক্ষে ভোট বৃদ্ধি করা যায় তার চেষ্টা করতে হবে। পরে তিনি ৩২টি গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, প্রস্তাবিত গাছা থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ কাদের, শাজাহান খন্দকার, জুয়েল মোল্লা, সিরাজ মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট দিতে জেলা জজ আদালতে যান।

 আদালত প্রাঙ্গণে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেলের পক্ষে প্রচারণা চালান ও ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুরের জিপি আমজাদ হোসেন বাবুল, পিপি হারিছ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহানসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকালে মহানগরের ৫৩নং ওয়ার্ডে আলমাছ ভেন্ডারের বড় দেওড়ার বাসায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে মিলিত হন সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ও মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

অপরদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার গতকাল সকালে তার টঙ্গীর আউচপাড়ার বাসভবনে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের জন্য এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। দুপুরে হাসান উদ্দিন সরকার নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনের বহু আকাঙ্ক্ষিত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নষ্ট করছেন। তিনি বলেন, আমি আইনি লড়াইয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার পর প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী ও তাদের দলীয় লোকজন আবারও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র পদপ্রার্থী ও তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

সর্বশেষ খবর