প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অসহযোগিতায় অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ জাতীয় নাগরিক সমন্বয় সেলভুক্ত ৯টি সংস্থা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত, বেসরকারি সংগঠন ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সুব্রত চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন করা হয়েছিল অর্পিত সম্পত্তির নামে জাতীয়করণ করা সম্পত্তি আসল মালিকের কাছে ফেরত দিতে। এ জন্য লক্ষাধিক মামলা এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণের বিষয়ে আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত। একই সঙ্গে এই রায় ও ডিক্রি বাস্তবায়নের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। জেলা প্রশাসকদের কেউ কেউ সেই আইন মানছেন না।
আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে মন্ত্রী পর্যায়ে বাধার সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজ সমমর্যাদাসম্পন্ন ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির জন্য আপিল ট্রাইব্যুনাল দ্রুত গঠন করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে এবং প্রতিটি জেলায় ভূমি প্রশাসন, সরকারি আইনজীবী, ভুক্তভোগী জনপ্রতিনিধি ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠর করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বাস্তবায়ন এবং এ সংক্রান্ত অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়মিত পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তি ও দুর্দশা লাঘব হবে।