শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাল্যবিয়ের কারণে কমছে পরীক্ষার্থী

আকতারুজ্জামান

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাল্যবিবাহজনিত কারণে প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষা থেকে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। পরীক্ষার আগে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে তারা আর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। প্রায় প্রতিবছরই বাল্যবিবাহের কারণে অনেক শিক্ষার্থী শেষ করছে শিক্ষাজীবন।

সূত্রমতে, ছাত্রী উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু থাকা সত্ত্বেও গত বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় বাল্যবিবাহের কারণে পাঁচ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এসব পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (সরকারি মাধ্যমিক-১)। একইসঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপস্থিতি প্রতিরোধে গৃহীত কৌশল সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, নানা কারণে গ্রামে এখনো বাল্যবিবাহ দেখা যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তাসহ নানা কারণে অসচেতন অভিভাবকরা কন্যাদের দ্রুত বিয়ে দিতে আগ্রহী। তারা মনে করছেন, মেয়েটা বিয়ে দিতে পারলে মাথা থেকে বোঝাটা নেমে গেল! আর বাল্যবিবাহের প্রভাবে পরীক্ষায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। মহাপরিচালক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রচারণা চালাতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলে আর বাল্যবিবাহের কারণে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে না।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন-বাল্যবিবাহ বাড়ছে না, তবে গ্রাম পর্যায়ে বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। বাল্যবিবাহের কারণে তারা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে আমরা আইনকে কঠোর থেকে কঠোরতর করছি। ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন— ২০১৭’-এ শাস্তির যে বিষয়টুকু রয়েছে তা মোবাইল কোর্টের আওতাভুক্ত করতে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছি।

 জেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা গেলে বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে বলে আমরা মনে করি।

সর্বশেষ খবর