শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

পাহাড়ধস রোধে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

—প্রফেসর ইদ্রিস আলী

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম

পাহাড়ধস রোধে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ প্রফেসর ইদ্রিস আলীর মতে, ‘আইওয়াশ নয়, পাহাড় ধস রোধে প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ। চট্টগ্রামে ভয়াবহ ধসে হতাহতের ১১ বছর পাড় হলেও পাহাড় ধস রোধে প্রণীত ৩০ বিধিমালা এখনো খসড়া পর্যায়েই আছে। এ জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দায়ী।’

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এই পরিবেশবিদ আরও বলেন, পাহাড় ধস রোধে প্রশাসনের এবারকার উদ্যোগ কিছুটা অগ্রবর্তী হলেও আমলাতান্ত্রিকতার কারণেই বিধিমালা এখনো খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। অথচ গেল ১১ বছরে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে তিনশর বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ৩০০ মিলিমিটারের  বেশি বৃষ্টি হলেই পাহাড়ে ধস হচ্ছে। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে উচ্ছেদ হওয়াদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানান। ইদ্রিস আলী বলেন, ১৩টি কারণে পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধস ঘটেছে বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই কারণগুলোর মধ্যে আটটি মানবসৃষ্ট কারণ এবং পাঁচটি কারণ প্রাকৃতিক। পাহাড় ধস ঠেকাতে তদন্ত কমিটি ১১টি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো প্রাকৃতিক বনভূমি সংরক্ষণ, নির্বিচারে গাছ ও বন কাটা বন্ধ, জুমচাষে আগাছানাশক ওষুধ ব্যবহার বন্ধ, ভূমিকম্প প্রতিরোধে তাল ও সুপারিগাছ লাগানো, পরিবেশ আইন মেনে পাহাড়ের উপযোগী অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা ইত্যাদি। প্রফেসর ইদ্রিস আলী আশা করেন, অলোচ্য ১১ সুপারিশ ঠিকমতো মেনে চললে পাহাড় ধস রোধ করা সম্ভব।

প্রফেসর ইদ্রিস আলী বলেন, পাহাড় কাটা রোধে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নেও ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, গেল বছর পাহাড় ধসের পর পরিবেশ অধিদফতর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে জমা দেয়। এর আগে সংসদীয় কমিটি পরিবেশ অধিদফতরকে সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে পাহাড় ধসের কারণ ও প্রতিকারের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার সুপারিশ করে। কমিটিতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে পরিবেশ অধিদফতর পাহাড় ও টিলা সংরক্ষণে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ কঠোরভাবে প্রতিপালনের সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে পাহাড় ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়ন করে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ করার সুপারিশ করা হয়।

প্রফেসর ইদ্রিস আলী বলেন, প্রতিবেদনটিতে পরিবেশ অধিদফতর পাহাড় ও টিলা সংরক্ষণে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ কঠোরভাবে প্রতিপালনের সুপারিশ করে।

একই সঙ্গে পাহাড় ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়ন করে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ করার সুপারিশ করা হয়।

সর্বশেষ খবর