সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ২২ সেতু

জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইল পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে এই মহাসড়কে চার লেন প্রকল্পের আওতায় ২৬টি সেতু, কালভার্ট এবং উড়ালসড়ক নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ২২টি সেতু, কালভার্ট ও উড়ালসড়ক শিগগিরই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর বাইরে এই মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহনের জন্য কালিয়াকৈর হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত রাস্তার অপর পাশে পৃথক লেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সড়কটির দৈর্ঘ্য সেতু এবং কালভার্টসহ ৫০ কিলোমিটার। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। সওজ সূত্র জানায়, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল সড়কের নাউজুরিতে নির্মাণ করা হয়েছে ২৮৮ মিটার ফ্লাইওভার। জয়দেবপুর-চন্দ্রা সড়কের

সফিপুর বাজারে নির্মাণ হয়েছে ৯০২ মিটার ফ্লাইওভার। চন্দ্রা ইন্টারসেকশনে টাঙ্গাইল হতে নবীনগর অভিমুখী ট্রাফিকের জন্য ৪৬০ মিটার লুপ নির্মাণ করা হয়েছে। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের পাশে প্রকল্প সড়কে নির্মাণ হয়েছে ২৮৮ মিটার ফ্লাইওভার। চন্দ্রা-টাঙ্গাইল সড়ক গড়াই বাজারে নির্মাণ হয়েছে ৪১১ মিটার ফ্লাইওভার। টাঙ্গাইল বাইপাসের রাবনা ত্রিকোনি ইন্টারসেকশনে করা হয়েছে ২৪৭ মিটার ফ্লাইওভার। লতিফপুরে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৫৬ মিটার রেলওয়ে ওভারপাস। এর বাইরে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস, ভোটঘর বাজার, দেওহাটা বাজার, মির্জাপুর বাইপাস, কুর্নি বাজার, কদিমধল্লা বাজার, জামুর্কি বাজার, নাটিয়াপাড়া বাজার, বাওই খোলা, করটিয়া হাট বাইপাসের মধ্যে, বাসাইল টি জংশন, তারুটিয়া স্কুল এবং টাঙ্গাইল বাইপাসের ঘারিন্দায় নির্মাণ করা হয়েছে ৭টি আন্ডারপাস।

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল সড়কের ২৬টি সেতু, কালভার্ট ও উড়ালসড়কের মধ্যে ২২টি সেতু উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় পেলে এসব সেতু যে কোনো দিন উদ্বোধন করা হবে।

অন্যদিকে সওজ সূত্র জানায়, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়কে শ্লথ গতির যানবাহনের জন্য পৃথক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাস্তবতার নিরিখে প্রকল্প সড়কে অতিরিক্ত ১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর