শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাজেটে হতাশ এমসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত বাজেটের কর কাঠামো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন মেট্টোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই)। সংগঠনটি বলেছে, এমসিসিআই হতাশ হয়েছে এই দেখে যে, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি। গত ৩ বছরেও এ করসীমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমসিসিআই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে- এই করসীমা বাড়ানো প্রয়োজন।

গতকাল মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে এমসিসিআই ট্যারিফ ও ট্যাক্সেশন সাব-কমিটির পর্যালোচনা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হতাশার কথা তুলে ধরা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, সহ-সভাপতি গোলাম মাঈনুদ্দিন এবং ট্যারিফ ও ট্যাক্সেশন সাব-কমিটির চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধুবাদ জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে, দায়িত্বশীল ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে এমসিসিআই মনে করে— বাংলাদেশের অর্থনীতি সন্তোষজনকভাবেই এগিয়ে চলেছে। অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের স্বল্পতা অর্থনীতির অগ্রগতির বড় বাধা। রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি এবং এডিপির দুর্বল বাস্তবায়নও বর্তমানে অর্থনীতির জন্য বড় দুশ্চিন্তা। বাংলাদেশকে যদি ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হয়, তবে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগসহ বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ উন্নীতকরণের কোনো বিকল্প নেই।  এমসিসিআই বলেছে, কর প্রদানকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে। এটা অর্জনের জন্য করপ্রদানে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা না চাপানোর জন্য জোর সুপারিশ করছে এমসিসিআই। নতুন করদাতা নিবন্ধনের জন্য তাদের পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সংগঠনটি আরও বলেছে, এমসিসিআই নিরুৎসাহিত এই দেখে যে— সরকারি উদ্যোগে ও নন-পারফরমেন্স রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের ঋণের ক্ষেত্রে কোনোরূপ সংস্কার করা হয়নি। এর বিপরীতে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ঘাটতি পূরণের জন্য বরাদ্দ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব রেখেছে। এই নীতি করদাতাদের জন্য অবিবেচনাকর এবং এটা দক্ষ পরিচালনাকে নিরুৎসাহ করে। এমসিসিআই হতাশ হয়েছে এই কারণে যে— পুনঃপুনঃ অনুরোধ করা এবং আশ্বাস দানের সত্ত্বেও বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য করপোরেট খাতে প্রদেয় আয়কর হার ৩৫ শতাংশ ও তার ঊর্ধ্ব থেকে কমানো হয়নি। ৩১৪টি পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানির মধ্যে ২১২টি কোম্পানি এই ২৫ শতাংশের নিচের হার পাওয়ার যোগ্য। সুপার সপের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ৫ শতাংশে উন্নীত না করে বর্তমানে চালু ৪ শতাংশ বহাল রাখা উচিত। এই বৃদ্ধি স্টোরগুলোর লভ্যাংশের প্রতিফলন ঘটায় না। বরং খুচরা ক্ষেত্রের এই সুসংঘটিত উদ্যোগকে নিরুৎসাহিত করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর