প্রস্তাবিত বস্ত্র বিলে রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোতে নিশ্চিতভাবে বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ রাখার বিধান চায় সংসদীয় কমিটি। তবে বিলটি এখনই চূড়ান্ত করার পক্ষে নন কমিটির সদস্যরা। বিলের ২৪টি ধারা ও ৬০টি উপধারা নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেওয়ার সুপারিশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। সংসদ ভবনে গতকাল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংসদে উত্থাপিত ‘বস্ত্র বিল ২০১৮’ নিয়ে আলোচনাকালে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, ডা. মো. এনামুর রহমান ও সাবিনা আক্তার তুহিন অংশ নেন। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খসড়া আইনটিতে রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর ব্যবস্থাপনা তদারকি ও আধুনিকায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জি টু জিসহ বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগও রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদাভিত্তিক কারিকুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।