বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ সময়ে বিদ্যুৎ যাবে না। বিদ্যুতের উৎপাদন ইতিমধ্যে ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভসহ) উন্নীত হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জাতীয় সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশনে গতকাল নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মামুনুর রশীদ কিরণের (নোয়াখালী-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় এখন সাধারণত বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে না। তবে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারকন্ডিশনার ও ফ্যান লোড বেড়ে গেছে। ফলে সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা ও গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। এ অবস্থায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বরেই শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ যাবে : আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) লিখিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুতায়ন কাজ চলমান আছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

মসজিদসমূহে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল সরকারের : আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, নিয়মিত আয়ের উৎসবিহীন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মসজিদসমূহে মাসিক ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সরকার পরিশোধ করে। তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিকভাবে অসচ্ছল মসজিদসমূহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা আপাতত নেই।

গৃহস্থালিতে এলপি গ্যাস ব্যবহার : সরকারি দলের হাবিবুর রহমানের (ঢাকা-৫) লিখিত প্রশ্নের লিখিত জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার গৃহস্থালিতে এলপি গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। এজন্য শিল্পকারখানায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করে গৃহস্থালিতে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

আওয়ামী লীগের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম আরও সহজ, দ্রুত, সুষ্ঠু ও ব্যয়সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান জেটি হিসেবে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপনে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসপিএম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।