বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একই বিভাগের তিন শিক্ষককে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়াও দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবীরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা যায়, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন গত চার বছর ধরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন বলে গত মঙ্গলবার অভিযোগে জানিয়েছেন একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও দুই শিক্ষিকা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রুহুল আমিন মঙ্গলবার একাডেমিক কমিটির সভা শেষ হওয়ার পর বিভাগীয় প্রধানকে চোখ টিপ দিলে তিনি তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদ করেন এবং এর আগেও তাকে বিভিন্ন সময় এসএমএস, মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবিসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এ ছাড়াও একই বিভাগের আরও দুই শিক্ষিকাকেও উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে তারা সাবেক ভিসি মোহিত উল আলমের কাছেও মৌখিক অভিযোগ করেন বলে উল্লেখ করা হয় ওই অভিযোগপত্রে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার ভিসি স্বাক্ষরিত এক নোটিসে অভিযুক্ত শিক্ষক রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবীরকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

আর এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হককে প্রধান করে ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিছ কেয়াকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের জবাব, একাডেমিক সভায় ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীদের  মাস্টার্সে ফেল করিয়ে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন বিভাগীয় প্রধানসহ কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষিকা। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে এরকম জঘন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবীর জানান, আমাকে কি কারণে অব্যাহতি দিয়েছে আমি জানি না। তবে আমি ঘটনা শোনার পরপরই শিক্ষিকার বাসায় গিয়ে খোঁজ নেওয়ার  চেষ্টা করেছি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নারী শিক্ষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি এবং এ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যাপারে প্রক্টর জাহিদুল কবীরের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করায় তাকেও অব্যাহতি দিয়েছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রকাশ করার পরে  সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

সর্বশেষ খবর