বরিশালে প্রখর রোদ এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ১৩তম দিনেও প্রচারণায় সমান তালে ঘাম ঝরিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, কমিউনিস্ট পার্টি ও বাসদ এবং জাপার বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এ সময় তারা পরিকল্পিত নগরী গড়তে এবং বরিশালের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল বেলা ১টার দিকে নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বর থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মী-সমর্থকরা নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন। গণসংযোগকালে সাদিক আবদুল্লাহ ৩০ জুলাই সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে যাকে দিয়ে বরিশালের উন্নয়ন হবে, দেখেশুনে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে এবং ৩০ জুলাই নৌকা প্রতীকের বিজয় হবে বলে আশাবাদী সাদিক আবদুল্লাহ। এদিকে বেলা ১১টার দিকে নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফরেস্টার বাড়ি, নিউ সার্কুলার রোড এবং কালুশাহ্ সড়কে গণসংযোগসহ লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। এ সময় বরিশাল নগরীর পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ৩০ জুলাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সবাইকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গণসংযোগকালে সরোয়ার বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু গ্রেফতার আতঙ্কের কারণে জনমনে সংশয়-সন্দেহ বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কমিশন বলেছে, নির্বাচনে ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু পুলিশ গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়ানোয় সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
পুলিশের ওপর দুই দফা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান সরোয়ার।
তিনি বলেন, ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণের তেমন কোনো ধারণা নেই। কোথায় টিপ দিলে কোথায় যায়, জনগণকে সেসব বিষয়ে অবহিত না করে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করার ওপর আপত্তি রয়েছে সরোয়ারের।এদিকে সাদিক ও সরোয়ার ছাড়াও জাপার ইকবাল হোসেন তাপস, বাসদের ডা. মনীষা চক্রবর্তী, কমিউনিস্ট পার্টির এ কে আজাদ, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহম্মেদ ঝুনু নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করে তাদের নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চান।
