দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন) কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে উপ-পরিচালক ছামসুল আলমসহ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত দল গতকাল বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করে।
দলের সদস্যরা সেখানে খনির কর্মকর্তা, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কোল ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন। খনির গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তদন্ত কর্মকর্তা কাজী শফিকুল আলম বলেন, খনিতে কয়লা উধাও এবং অসঙ্গতি আছে বলে মামলা হয়েছে। কাগজপত্র যাছাই করে যেসব কাগজ প্রয়োজন মনে হয়েছে সেগুলো জব্দ করেছি। তদন্ত শেষে খুব শিগগিরই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা সবাই নজরদারিতে আছেন। তদন্ত চলাকালীন কেউ দেশত্যাগ করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে উত্তোলিত ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে গত ২৪ জুলাই রাতে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় অপসারিত খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) এ কে এম খালেদুল ইসলামসহ ১৯ কর্মকর্তাকে আসামি করে পার্বতীপুর থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলাটি দুদক তদন্ত করছে।