জাতীয় সংসদের লাইব্রেরিতে চালু হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। সংসদ লাইব্রেরির সংস্কার ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে কর্নার দুটি চালু হলো। সংস্কার কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদ লাইব্রেরির উদ্বোধন করবেন। সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমব্রেলা প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু কর্নারের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, আইপিইউ এবং সিপিএ কর্নার প্রতিষ্ঠাসহ বইয়ের ডিজিটাল বা অনলাইন ক্যাটালগ, বই সংরক্ষণে পৃথক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, বই যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য বুক ট্যারিলাইজ মেশিন বা বই জীবাণুমুক্ত যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। সংসদের লাইব্রেরিতে প্রায় ৪০ হাজার বই আছে। এ বছর দেশি-বিদেশি ৩৬৫ কপি বই কিনেছে সংসদ। লাইব্রেরিতে ঢোকার মুখেই স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা প্রবন্ধ, নিবন্ধ, অনুবাদ, গল্প, উপন্যাস ও কবিতার বই রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নারে। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট নানা গ্রন্থে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। লাইব্রেরিতে বসে এমপি ও গবেষকদের পড়াশোনার জন্য আরামদায়ক সোফা ও রিডিং টেবিলের ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নির্দেশনায় গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই সংসদ লাইব্রেরির সংস্কার কাজ শুরু হয়। এর আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন সংসদ লাইব্রেরির অব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। লাইব্রেরি সূত্র জানায়, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সমপ্রতি লাইব্রেরির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত সব বই সংগ্রহ করে সংসদের লাইব্রেরিতে আনার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ভারতের লোকসভা ও যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের ওপর যতগুলো বই আছে তাও সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে লাইব্রেরিতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ওপর প্রকাশিত গ্রন্থ, ম্যাগাজিন, বুকলেট ও নিউজ লেটার সংগ্রহ করে আরও আইপিইউ এবং সিপিইউ কর্নার চালুর নির্দেশ দেন। সংসদ লাইব্রেরির আধুনিকায়নে এরই মধ্যে বইয়ের ডিজিটাল বা অনলাইন ক্যাটালগ তৈরির জন্য কোহা লাইব্রেরি সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮১টি শিরোনামের মোট ১ হাজার ২০০টি বইয়ের ইনপুট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লাইব্রেরির সব বই অনলাইনে ইনপুটের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সংসদ বিতর্ক সার্চের জন্য ২০১৪ সালের মার্চ মাস থেকে ডিজিটাল রেপোজিটরি সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু হয়েছে। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে অষ্টম ও নবম সংসদের বিতর্ক থেকে যে কোনো তথ্য সার্চ করা যায়।
