শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দৃশ্যমান দোহাজারী ঘুমধুম রেললাইন

কবির হোসেন সিদ্দিকী, বান্দরবান

দৃশ্যমান দোহাজারী ঘুমধুম রেললাইন

দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দৃশ্যমান হলো সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম ডুয়েলগেজ রেললাইন। নির্দিষ্ট মেয়াদকালীন সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে রাত-দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রকল্প কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় রেললাইন বাসানোর স্থান চিহ্নিত করে রেলপথ তৈরির কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। রেললাইন কোন কোন জায়গার ওপর দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত পৌঁছাবে সে পথ চিহ্নিত করে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। ফলে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নিয়ে উত্সুক জনগণ নিশ্চিত হয়ে গেছে স্বপ্নের এ রেললাইন চালুর ব্যাপারে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগ ও অর্থায়নে প্রথমপর্বে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হবে। এ কাজে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে পর্যটন শহর কক্সবাজারে রেল চালুর ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে তাড়া রয়েছে। দ্বিতীয়পর্বে কক্সবাজার থেকে ঘমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটারের লাইনের কাজ শেষ করা হবে। দ্বিতীয় পর্বের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬৮৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে এ রেলপথ নির্মাণ কাজের প্রথম পর্বের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয় চীনের বৃহত্তম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে। দ্বিতীয় পর্বে কার্যাদেশ পেয়েছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে। কার্যাদেশের শর্তানুযায়ী কাজ শুরু করার ৩ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রেল লাইনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দোহাজারীতে শঙ্খ নদের উপর রেলসেতু নির্মাণের কাজও        অনেক আগেই শুরু করা হয়েছে। এ রেললাইনে ১৮৪টি ছোটবড় ব্রিজ, বক্স কার্লভাট, পাইপ কার্লভাট স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে। নতুন এ লাইনে ৯টি নতুন রেলওয়ে স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং পরবর্তীতে স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। রেলপথটি তৈরি করতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় সরকারি মালিকানাধীন ভূমি ছাড়া ব্যক্তি মালিকানার ১ হাজার ৪০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী মফিজুর বলেন, বর্ষা মৌসুমের বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তিন বছরের আগেই এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে রেল চালু করা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর