শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় রাধারমণ সংগীত উৎসব শুরু

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

মরমি গানের সুরে সুরে সংগীতপিপাসুদের হৃদয়ের গভীরে দাগ কেটেছেন লোককবি রাধারমণ দত্ত পুরকায়স্থ। প্রায় তিন সহস াধিক গান রচনা করে এদেশের লোকসংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন গানের এই সাধক। এই সংগীতজ্ঞের তিরোধান দিবস উপলক্ষে তিন দিনের ‘রাধারমণ সংগীত উৎসব ২০১৮’ এর আয়োজন করেছে যৌথভাবে শিল্পকলা একাডেমি ও রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র। উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, সোনালী ব্যাংক ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। এ উৎসবে পরিবেশিত হবে রাধারমণের কীর্তন, দেহতত্ত্ব, ধামাইল ও ভাটিয়ালি গান। ঢাকা, সিলেট, মৌলভীবাজার, নবীগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন। গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করেন শ্রীহট্টের আঞ্চলিক গান ও রাধারমণ সংগীতের প্রবীণ শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সি এম তোফায়েল বারী। আলোচক ছিলেন সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি তপন মাহমুদ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. হারিসুল হক ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্বজিৎ রায়। রাধারমণের গানের দুই প্রবীণ শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস ও শাহ মো. ছুরত মিয়াকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, রাধারমণের গান নিয়ে প্রায়ই সুর বিকৃতিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। এর একটি কারণ হচ্ছে, রাধারমণ তার গানগুলোকে নিজে প্রকাশ করে যাননি। যেটা কিনা বাউল শাহ্্ আবদুল করিম করেছেন। তাই বলে তার গানকে অস্বীকার করা যায় না। তার চিন্তার জগত্টা ছিল বিশাল। এটাই রাধারমণের প্রতি সবার প্রধান আকর্ষণ। রাধারমণ সংগীত উৎসবকে বিভাগীয় শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানান অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।

 নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

এর আগে সব অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালন করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রথম দিনের আয়োজনে এককসংগীত পরিবেশন করেন দীপ্তি রাজবংশী, চন্দনা মজুমদার, শাহনাজ বেলী, আবুবকর সিদ্দিক, সন্দীপন, লাভলী দেব, খায়রুল ইসলাম, সুতপা রায়। সৃজ্যোতি রায় ও সৃজন রায় দ্বৈত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘কুঞ্জ সাজাও গিয়া’।

সম্মেলক কণ্ঠে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা গেয়ে শোনায় ‘সুরধ্বনির কিনারায় সোনার’ ও ‘সজনী তোরা জল আনিতে যাবিনি’ এবং  মরমি লোকগীতি শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ‘আমার বন্ধু দয়াময়’ ও ‘আমি রবোনা রবোনা গৃহে’। ‘আসবে শ্যাম কালিয়া’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে স্বপ্নবিকাশ কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পীরা ও ‘সুরধ্বনির কিনারায়’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে আঙ্গীকাম ললিতকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর