বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য, অশিক্ষা, অসচেতনতা ও কুসংস্কারসহ নানা কারণে মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও বাল্যবিবাহের মতো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে শিক্ষার্থী তথা তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা অপরিসীম। তাদের হাত ধরেই আসবে আগামীর উন্নত বাংলাদেশ।
গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘সমাজ পরিবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-২০১৮’ এর প্রচারাভিযানের অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মনজুরুল ইলাহী, এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, বিজেএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চোধুরী পারভেজ, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এখন মানুষ জ্ঞানী না হয়ে ধূর্ত হচ্ছে। মানুষের প্রতি ভালোবাসা না থাকলেও ভালোবাসার ভান করছে।
সৈয়দ মনজুরুল ইলাহী বলেন, আগামী ’৩০ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয় এবং ’৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকাভুক্ত হবো। আমাদের এই স্বপ্ন পূরণ করবে আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। তাদের সেভাবেই তৈরি হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, একজন মানুষ স্বেচ্ছায় দরিদ্র হয় না। সমাজই তাকে দরিদ্র করে তোলে। পরবর্তীকালে দারিদ্র্যের কারণে সে নানা অপরাধে জড়িত হয়। তাই তাদের ব্যাপারে আমাদেরও দায় আছে। আমরা চাই সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করতে। এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা।