সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা

কুমিল্লায় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কুমিল্লা কোটবাড়ী এলাকা ঘিরে এই সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কোটবাড়ী শালবন বিহারে প্রতি মাসে অর্ধ লক্ষাধিক দর্শনার্থী আসে। এ ছাড়া তার পাশে বিভিন্ন বেসরকারি পার্ক, বন বিভাগের শালবন, বিরল উদ্ভিদ উদ্যান মিলিয়ে আসে লক্ষাধিক পর্যটক। কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি জাদুঘর গত বছর সোয়া কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় করেছে। এবার তা দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি জাদুঘর সূত্র জানায়, শালবন বিহারের পাশে সেনানিবাস। সেখানে রয়েছে আনন্দ বিহার, ভোজ বিহার, চারপত্রমুড়া, কোটিলামুড়া ও লতিকোট মুড়া। এই প্রত্ন সম্পদগুলো সাধারণ দর্শনার্থীরা দেখতে পারত না। এবার সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে শুধু দেশি পর্যটক সেখানে প্রবেশ করতে পারবে। অল্পকিছু দিনের মধ্যে উন্মুক্ত করা হবে রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, রানীর বাংলো, নগরীর রানীর কুটির, শচীন দেব বর্মণের বাড়ি ও লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছার বাড়ি। এখানে পর্যায়ক্রমে টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে কুমিল্লায় ৫৪টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি খনন করা হয়েছে। খননের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ১৪টি। সূত্রমতে, ছোট পাহাড়, সবুজ বন আর নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে চায় মানুষ। এ জন্য থাকার ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি মোটেল প্রতিষ্ঠা করা হলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। পর্যটন নিয়ে কাজ করা গবেষক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল ও সংগঠক আজাদ সরকার লিটন বলেন, কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন পর্যটন উপযোগী স্থাপনা। বিশেষ করে বলা যেতে পারে শালবনের পাশের বিভিন্ন বিহার, ওয়ার সিমেট্রি, নজরুলের স্মৃতিধন্য মুরাদনগরের দৌলতপুর ও লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছার বাড়ির কথা। এগুলো সংরক্ষণ করে মানুষের বিনোদনের সঙ্গে সরকার রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর কুমিল্লার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, কুমিল্লায় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেনানিবাসের ভিতরের প্রত্ন স্থাপনাগুলো দেশি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে সেনানিবাসের জিওসি ও স্টেশন কমান্ডার মহোদয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে কোটবাড়ী এলাকায় প্রতি মাসে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ টিকিট কেটে প্রত্নসম্পদ দেখে। এ ছাড়া পাশের বেসরকারি পার্ক ও শালবন দেখতে আসে মোট লক্ষাধিক মানুষ। মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, যোগাযোগ ব্যবস্থায় মহাসড়কের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে মানুষ আসতে চায়, সময় কাটাতে চায়। এখানে পর্যটন করপোরেশন একটি মোটেল স্থাপন করলে পর্যটক রাত্রি যাপন করতে পারবে। সময় নিয়ে বিভিন্ন বিহার পরিদর্শন করতে পারবে। মোটেল স্থাপন নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভায় কথা বলেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণে বরাদ্দের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

সর্বশেষ খবর