রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর ‘আন্ডারডগ’

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে দুই জোটের প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন কয়েকজন প্রার্থী। চট্টগ্রামের চারটি আসনেই তারা জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন। এমনকি নির্বাচিত হয়ে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে তাদের। তাই অত্যাসন্ন নির্বাচনে তারা হয়ে উঠেছেন ভোটের মাঠের ‘আন্ডারডগ’। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ভোটের লড়াই দুই জোটের বাইরে নির্বাচনী যুদ্ধে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এবং জামায়াতের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম। চট্টগ্রামের অন্য আসনগুলোতে মূল যুদ্ধ দুই জোটের মধ্যে হলেও এখানে চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। এ আসনে দুই জোট প্রার্থীর সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের এ দুই নেতার লড়াই। আসনটি কার্যত চার প্রার্থীর জন্যই উন্মুক্ত বলা যায়। তাই নির্বাচনে জিততে পারেন সাবেক মন্ত্রী বিএনপির প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি এবং জামায়াত নেতা জহিরুল ইসলামের মধ্য থেকে যে-কেউ। চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনে মহাজোট ও ২০-দলীয় জোটের শক্তিশালী দুই প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন দেশের আলোচিত অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী। বিগত সময়ে হেফাজতে      ইসলামের হয়ে ১৩ দফা দাবি আদায় আন্দোলনসহ নানা কর্মসূচিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে কওমি সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় মাওলানা রুহী। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে নানা সমীকরণের কারণে শেষ মুহূর্তে ‘প্রতিযোগিতায়’ চলে আসতে পারেন তিনি। চট্টগ্রাম-১১, ১২, ১৩ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী যুদ্ধে রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন। এ তিন আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি শামসুল হক চৌধুরী এবং ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী বিএনপি নেতা এনামুল হকের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিচ্ছেন মাওলানা এম এ মতিন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্যতম ঘাঁটি পটিয়ায় সাংগঠনিক শক্তির কারণে দুই মহাজোটের প্রার্থীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইসলামী ফ্রন্টের শীর্ষ এ নেতা। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দুই জোটের বাইরে এম এ মতিন নির্বাচিত হয়ে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। চট্টগ্রাম-২ সংসদীয় আসনে দুই জোটের প্রার্থীদের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী শাহাজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন আহমেদ। মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের বংশধর সাইফুদ্দীন মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর পরমাত্মীয়। ফটিকছড়িতে পারিবারিকভাবে রয়েছে সাইফুদ্দীনের ব্যাপক প্রভাব। আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো শক্তি-সামর্থ্য না থাকলেও জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন ইসলামী ফ্রন্টের এ প্রার্থী।

সর্বশেষ খবর