এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিজয়ী হবে। এমন আশা প্রকাশ করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের এই শক্ত ভিত্তি রচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুণেই এটি সম্ভব হয়েছে। তাই তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এই বাস্তবতায় তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনে জয়যুক্ত হবে। গতকাল গুলশানের লেকশোর হোটেলে ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জাস্টিস আবদুস সালাম, উদ্যোক্তা আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। ড. আতিউর রহমান বলেন, তরুণ ভোটাররা নিশ্চয় সম্ভাবনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিজয়ী ট্রেনেই অবস্থান নেবে। তারা অ্যান্টি-ইঙ্কাম্বেসি ধারণায় প্রভাবিত হবে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তাই আরও সতর্ক থাকতে এবং এই নির্বাচনকে কেউ যেন প্রশ্নবিদ্ধ না করতে পারে সেদিকে তীক্ষ নজর রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে সহিংসতা এড়াতে সবাই মনোযোগী হোন। এ নির্বাচন ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মতোই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার গত এক দশকে চার গুণ বড় হয়েছে। মাথাপিছু আয় ও ভোগ তিন গুণ বেড়েছে। দারিদ্র্য কমে অর্ধেক হয়েছে। জীবনের গড় আয়ু ৬৫ থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। দি ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট মনে করে আগামী পাঁচ বছর জিডিপি গড়ে অন্তত ৭ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়বে। বাংলাদেশ মনে করছে এ বৃদ্ধির হার আরও বেশি হবে।