তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার এবং প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দেওয়া প্রতিবেদনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা বলব এটি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই প্রতিবেদন আর বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। প্রকৃতপক্ষে এটি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে টিআইবি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে মাত্র, আর কোনো কিছু নয়।’ গতকাল বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের নিজ বাসভবনে টিআইবির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বলা হয়, এটি তাদের গবেষণাপ্রসূত প্রতিবেদন। অতীতেও দেখেছি, তারা যে গবেষণার কথা বলে সে গবেষণাগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো সঠিক গবেষণা নয়, বেশিরভাগ প্রতিবেদন ত্রুটিপূর্ণ, একপেশে। এমনকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। বিএনপি যেভাবে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে এ নির্বাচনে ৮০০ প্রার্থীকে ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে তা নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনে কোনো বক্তব্য নেই।’ টিআইবির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবি বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ত্রুটিপূর্ণ গবেষণার নামে যে সমস্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। টিআইবির যে গ্রহণযোগ্যতা, ক্রেডিবিলিটি ছিল সেটি এখন আর নেই। তবে জনগণ চাইলে যে কোনো কিছু হতে পারে।’
আমরা মনে করি ক্রেডিবল অরগানাইজেশন থাকা প্রয়োজন, যেগুলো বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করবে। আশা করি টিআইবি তাদের কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাবে।’ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে টিআইবি মনগড়া কল্পকাহিনী সাজিয়েছিল। দেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। পদ্মা সেতুতে যে কোনো দুর্নীতি হয়নি, সেটি কেবল দেশে নয়, বিদেশেও প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা করেছিল, সে মামলায় বিশ্বব্যাংক হেরেছে। এরপর টিআইবিসহ যে সমস্ত সংস্থা পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কল্পকাহিনী সাজিয়েছিল তাদের উচিত ছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এ ধরনের মনগড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকা, যেটি তারা করেনি।’ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দাবি করে বলেন, ‘এই নির্বাচন দেশ-বিদেশে সব জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে। যারা আমাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিল তারা সবাই এ নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে যত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সব সাধারণ নির্বাচনগুলোর মধ্যে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অপেক্ষাকৃত অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই নির্বাচন অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’