বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

১১ চিকিৎসকের পদোন্নতিতে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

একসঙ্গে চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ কনসালট্যান্ট পদের ১১ চিকিৎসকের পদোন্নতি ও ছাড়পত্রের ঘটনায় ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা। রোগীদের অভিযোগ, এ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এর মধ্যে একসঙ্গে মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ ১১ চিকিৎসক নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন তারা। পরিকল্পনা করে উপজেলা থেকে চিকিৎসক এনে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের ছাড়পত্র দিলে ভোগান্তি কিছুটা কম হতো। জানা যায়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে কনসালট্যান্ট চিকিৎসক চারজন। এর মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে দুজন চলে গেছেন। চক্ষু বিভাগে চিকিৎসক ছিলেন একজন। পদোন্নতি পেয়ে তিনিও ছেড়েছেন জেনারেল হাসপাতাল। চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে কোনো চিকিৎসক নেই। শিশু বিভাগে কর্মরত ছিলেন চারজন। একসঙ্গে পদোন্নতি পান তিনজন। ফলে অতি জরুরি এই বিভাগে বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র একজন। আর মেডিসিন বিভাগে দুজন থেকে একজন বদলি হয়েছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল প্রায় চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়েছে। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘পদোন্নতি পেয়ে হাসপাতালের ১১ জন কনসালট্যান্ট বিভিন্ন স্থানে বদলি হয়েছেন। ফলে এ হাসপাতালে এখন চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আগে যে হারে রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হতো এখন তা অনেকাংশে কমে যাবে। বিশেষ করে গাইনি ও শিশু বিভাগের রোগীরা বেশি দুর্ভোগ পোহাবেন। এ দুই বিভাগের রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।

তা ছাড়া চক্ষু ও চর্ম রোগ বিভাগ এখন চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়েছে। অথচ চক্ষু বিভাগে অনেক নতুন চিকিৎসা উপকরণ যুক্ত হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করব উপজেলা থেকে চিকিৎসক এনে রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে।’

জানা যায়, ১৯০১ সালে ৮০ শয্যার জনবল ও অবকাঠামো নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। ২০০৩ সালে আগের জনবল ঠিক রেখেই হাসপাতালটিকে ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে ১৫০ শয্যার জনবল দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ১৫০ শয্যার জনবল দিয়েই ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে হাসপাতালে ৪০ শয্যার মেডিসিন ওয়ার্ড, ১০ শয্যার কার্ডিওলজি, ৫০ শয্যার সার্জারি, ১২ শয্যার অর্থোপেডিক, ৫০ শয্যার শিশু, ২৪ শয্যার নাক-কান-গলা, ২ শয্যার চক্ষু, ১০ শয্যার কেবিন ও ১৫ শয্যার পেয়িং বেড (টাকার বিনিময়ে) আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর