শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অপরিকল্পিত উন্নয়নে দুর্ভোগে সিলেটের মানুষ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

শনিবার দিবাগত রাত ১১টা। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলবল নিয়ে হাজির নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায়। যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হলো গুরুত্বপূর্ণ জিন্দাবাজার-বারুতখানা সড়কে। বারুতখানা পয়েন্ট থেকে প্রায় শত গজ সামনের একটি কালভার্ট পুরোটাই ভেঙে ফেললেন সিসিকের কর্মীরা। পরদিন রবিবার সকালে প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে এমন দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন নগরবাসী। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কালভার্ট ভেঙে ফেলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। তবে নগরবাসীর হতভম্ব হওয়ার আরও বাকি ছিল তখনো। রবিবার ভেঙে ফেলা হয় জেলরোড-নাইওরপুল সড়কের আরেকটি কালভার্ট। এতে নাইওরপুল থেকে জেলরোড ও বারুতখানা হয়ে জিন্দাবাজার পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়ে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য ওই ভাঙা কালভার্টের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এসব সাঁকোর ওপর দিয়ে চলছে মানুষ। সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, এই কালভার্ট দুটি ছোট হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন হয় ধীরগতিতে। ফলে ওই দুই এলাকায় কিছুটা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ থেকে মুক্তি পেতে কালভার্ট দুটি বড় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সিসিকের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধের বিষয়টি আগাম না জানানোয় নগরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, কালভার্টের কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের জন্য ছয় মাস নির্ধারিত থাকলেও ঠিকাদারকে বেশি শ্রমিক লাগিয়ে এক মাসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর