সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সারা দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। এই ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩ কোটি টাকা। বরাদ্দ পাওয়া পুরো টাকাই ভিক্ষুক পুনর্বাসনে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য সমন্বিতভাবে কোনো জরিপ পরিচালিত হয়নি। তবে জেলা পর্যায়ের জেলা প্রশাসক এবং জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের জরিপ অনুযায়ী সারা দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। এসব ভিক্ষুকের পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয় পেয়েছে মাত্র ৩ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। দেশের ০.১৭ শতাংশ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিক্ষুক পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ডিসিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৮ জেলায় ৫১টি উপজেলা ও ইউনিটের অধীনে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ^ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২১৪৪৩.৭৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সিটিএম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সরকারি শিশু পরিবার পিতৃহীন অথবা পিতৃ-মাতৃহীন ৬ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের লালন-পালন করে থাকে। বয়স ১৮ বছর উত্তীর্ণ হলে তাদের বিবাহের, চাকরির, সামাজিকভাবে প্রশিক্ষণের ও শিক্ষার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়। এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য ৬ বিভাগে ৬টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি শিশু পরিবার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ২৮৬ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।