আজ ২৮ এপ্রিল। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস। ২০০৯ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১০ বছরে এ সরকারের সংস্থার মাধ্যমে বিনা খরচে আইনি সেবা পেয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজার ৪০ জন দরিদ্র, অসহায় মানুষ। এই সময়ে অসহায় মানুষদের ৩৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকরণে আইনগত সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন। নানা জটিলতার পর ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ সংস্থার ৬৪টি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৩ জনকে এবং সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২০ হাজার ৯২ জনকে, জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টারের ‘১৬৪৩০’ নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে ৮৩ হাজার ৯১৮ জনকে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলের মাধ্যমে ১৮ হাজার ২০৭ জনকে আইনগত সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি। একই সময়ে এ সংস্থা ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯২টি লিগ্যাল এইড মামলা নিষ্পত্তি করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, করোনাভাইরাসের এই সময়েও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টার (১৬৪৩০) বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কল সেন্টার উদ্বোধন করেন। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও এটি ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে।
এ ছাড়া ‘ডিজিটাল লিগ্যাল এইড’ সেবা প্রদানের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘বিডি লিগ্যাল এইড’ নামে একটি অ্যাপ চালু করে সংস্থাটি। এতে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে অ্যাপটির সাহায্যে ঘরে বসে বিনা খরচে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন অসহায় ও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী জনগণ।
