রংপুরে এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৮। কিন্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকে গত ১১ দিনে রংপুরে ১৭০ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সে হিসাবে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬। তার পরও রংপুরের ব্যবসায়ী-ক্রেতা-বিক্রেতার কারোরই হুঁশ নেই। শহরের শপিং মল, দোকানপাটে কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। করোনা প্রতিরোধে জনসমাগম কমাতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনোটাই কাজে আসেনি। জেলা সিভিল সার্জন সূত্রমতে ১০ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ১১ দিনে রংপুর মহানগরসহ আট উপজেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৭০ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে বিভাগীয় শহরের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহের পরই রংপুরের অবস্থান। এ ছাড়া জেলাভিত্তিক অবস্থানে রংপুর ৮ নম্বরে রয়েছে। প্রতিদিন অন্যান্য স্থানের চেয়ে রংপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সব মহলেই এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভয়াবহ পরিণতি বহন করতে হবে রংপুরবাসীকে- এমনটাই মনে করছে সচেতন মহল। রংপুরে করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ফখরুল আনাম বেঞ্জু জানান, প্রথম দিনে রংপুরের মানুষ সামাজিক দূরত্বসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলছিল। কিন্তু দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্তের পর কোনো বিধিনিষেধই মানা হচ্ছে না।ফলে মারাত্মক করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে রংপুর।জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় জানান, রংপুর জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২৮৮। কিন্তু ১০ মে দোকানপাট খোলার পর থেকে রংপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।