মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতেই মনোনয়ন চেয়েছি

-মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতেই মনোনয়ন চেয়েছি

ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছি, আর তাই জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতেই এই উপনির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছি। এই আসন থেকে পর পর তিনবার নির্বাচিত প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের     অসমাপ্ত কাজগুলোও শেষ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় মানুষের জন্য ভাবেন, কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতেই আমি ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন চেয়েছি। এলাকার উন্নয়নে কাজ করা নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানিয়ে মেহেদী বলেন, এই আসনে প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন পর পর তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এলাকার মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমি চাই তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে। নির্বাচিত হলে এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দেব।

ছাত্রজীবনে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দুই বার সদস্য ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী ছাত্ররাজনীতি ছাড়ার পর পেশাজীবী হিসেবেও দলের পক্ষে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। রাজনৈতিক কারণে অসংখ্যবার আহত, গ্রেফতার ও ডিটেনশনে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজপথের প্রতিটি মিছিলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের এডিসি কোহিনূরের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিজে বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন।

১/১১-এর কঠিন সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতারের দিন থেকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভের মুহূর্ত পর্যন্ত মোমতাজ উদ্দিন সক্রিয়ভাবে রাজপথে ও আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইনজীবী, পেশাজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য বিবৃতি প্রদান করেন। বিশেষ আদালতে প্রতিদিন উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

সর্বশেষ খবর