রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের পিএ কাম হিসাবরক্ষক উম্মে সুলতানা নওশীনকে চার মাস আগে বদলি করা হলেও তিনি এখনো দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বদলি হননি। অভিযোগ রয়েছে, এই হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি এবং গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট বহাল রাখতেই তার বদলির বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই হিসাবরক্ষক বহুল সমালোচিত ঠিকাদার মিঠুর ভাতিজি এবং অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সিন্ডিকেটের সহযোগী। ফলে বদলির আদেশ হওয়া সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। জানা গেছে, চার মাস আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে রংপুর মেডিকেল থেকে নওশীনকে লালমনিরহাটের ১০০ শয্যা হাসপাতালে বদলি করা হয়। এরপর থেকেই তিনি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বদলি পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। একটি সূত্র জানায়, তিনি লালমনিরহাটের নতুন কর্মস্থলে কাগজে-কলমে যোগদান করলেও সেখান থেকে ফের কাগজে-কলমে রংপুরে বদলির ব্যাপারে তদবির করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার বার বলার পরেও তিনি এখনো কোনো কাগজ বুঝিয়ে দেননি এবং তার রুমের তালাও খুলে দেননি। ফলে রুমটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে রমেক হাসপাতালের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ায় হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকা- বিঘিœত হলেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রুস্তম আলীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নওশীনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য দুইবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দেননি। তিনি দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী তার অটো রিলিজ হয়ে গেছে। নওশীন যে রুমে বসতেন তার নিয়ন্ত্রণ এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতেই রয়েছে।