মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে বৈষম্য

অভিযোগ বিটিএমএর

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে বস্ত্র জাতীয় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। তারা বলেছে, একই এলসির অধীনে পৃথক চালানে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের প্রতিবার পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হলেও ভারতের ক্ষেত্রে সেটির দরকার পড়ে না। এক্ষেত্রে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে রপ্তানির ক্ষেত্রে এ বৈষম্য নিরসনে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বিটিএমএ। গত ২৮ অক্টোবর অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, সাবেক বাণিজ্য সচিব ফিরোজ আহমেদ মন্ত্রণালয়ে এ চিঠিটি পাঠান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজ আহমেদ বলেন, এটিকে ঠিক বৈষম্য না বলে এক ধরনের অশুল্ক বাধা বা নন-ট্যারিফ বেরিয়ার বলা যেতে পারে। এই অশুল্ক বাধা নিরসনে সরকার যাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয় সে সম্পর্কে চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ফিরোজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা যখন আসামে লুঙ্গি রপ্তানির এলসি করেন, তখন তারা সব পণ্য একসঙ্গে না পাঠিয়ে ছোট ছোট চালানে পণ্যের কনসাইনমেন্ট পাঠান। দেখা যাচ্ছে, একটি এলসি করে যতবার এই পণ্য পাঠানো হয়, ততবার ভারতের শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পণ্যের মান সম্পর্কিত বিএসটিআই সনদ দিতে হয়।

বারবার সনদ নিতে গেলে বিএসটিআইকে ফি দিতে হয়। এতে রপ্তানিকারকদের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে খরচ বেড়ে যায়।

অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জানান, এ অবস্থায় বিটিএমএ চাইছে- বাংলাদেশের ক্ষেত্রে লুঙ্গি জাতীয় বস্ত্র ছোট ছোট কনসাইনমেন্টে রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মানের সনদ বৈধ করা হোক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগেও বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের স্থলবন্দর দিয়ে বস্ত্রজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এ সমস্যার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছিল। গত বছর নভেম্বরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর পর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি জানতে পারেনি বিটিএমএ। এ অবস্থায় গত ২৮ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবার চিঠি পাঠান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব।

সেই সময় পাঠানো চিঠিতে বিটিএমএ বলেছিল, বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের প্রতিবার প্রোফর্মা ইনভয়েসের (পিআই) সঙ্গে মান সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার বাধ্যবাদকতা থাকলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতিবার জমা দিতে হয় না। তাদের ক্ষেত্রে পণ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ছয় মাস পর্যন্ত বৈধ থাকে। সে কারণে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের প্রতিটি পার্সিয়াল শিপমেন্টের জন্য একই পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট লাগে না। এক্ষেত্রে তারা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর