যানজটমুক্ত নির্মল শহরের খ্যাতি ছিল বরিশালের। সে খ্যাতি উবে গেছে। মহানগরের সর্বত্র যানজট এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। সদর রোড, জেলখানা মোড়, বাংলাবাজার, আমতলা মোড়, সাগরদী থেকে রূপাতলী বাস টার্মিনাল, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট লেগেই থাকে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই শহরে চলছে অন্তত ১১ হাজার অবৈধ যানবাহন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলাচলের অনুমতি পাওয়া থ্রি হুইলার যানগুলোও নগরের রাস্তাঘাট দখল করেছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাদের দায়িত্ব সেই ট্রাফিক বিভাগও এ ব্যাপারে উদাসীন। এ সুযোগে অবৈধ যান থেকে প্রতি মাসে আদায় হওয়া অর্ধ কোটি টাকার চাঁদা ভাগাভাগি হচ্ছে ট্রাফিকের কতিপয় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা আর কথিত শ্রমিক নেতাদের মাঝে।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানান, সিটি করপোরেশন থেকে বিগত দুই মেয়রের আমলে ব্যাটারিচালিত ২ হাজার ৬১০টি অটোরিকশার লাইসেন্স অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান মেয়র ক্ষমতা গ্রহণের পর ওইসব অটোরিকশার লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ করে দেন। সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘নগরে যান চালিয়ে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। অবৈধ যান বন্ধের বিষয়ে মেট্রো পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘নিয়মিত অবৈধ যানের বিরুদ্ধে মামলা ও আটক করা হচ্ছে। আগের চেয়ে নগরে যানজট অনেক কমেছে। তবে শুধু ট্রাফিক বিভাগের একার পক্ষে শহর যানজটমুক্ত করা সম্ভব নয়।’