রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

হলুদ হাসি মাঠজুড়ে

কৃষক ঝুঁকছেন সরিষা চাষে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

হলুদ হাসি মাঠজুড়ে

যেদিকে দৃষ্টি যায় মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুল। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল, বরেন্দ্র অঞ্চল ও নদীর ধারে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সরিষা আবাদ। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন আশা করছেন তারা। কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ায় অনেকে এ ফসল চাষে ঝুঁকছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাঁপাইবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে।

আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৭২০ হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ১৪০ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৯০, নাচোলে ৫ হাজার ১০, শিবগঞ্জে ৩ হাজার ৭০০, গোমস্তাপুরে ২ হাজার ১৬৫ ও ভোলাহাটে ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিয়া চাষ হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ আর হলুদ। ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে সরিষা খেত। কৃষকরা জানান, আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকে। ওই জমিতেই অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। ইতিমধ্যে কোনো কোনো মাঠে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আবার কোথাও ফুটছে ফুল।

নেজামপুর ইউনিয়নের চাষি দুলাল হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। ফলন পাওয়া যায় বিঘাপ্রতি ৫-৭ মণ। প্রতিমণ সরিষার বাজারমূল্য এক হাজার ৮০০ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, সরিষা চাষে কৃষক যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তা ইতিবাচক। এটি কৃষি ক্ষেত্রে আরেকটি সাফল্য। চাষাবাদে খরচ কম। পানি একবার দিলেই হয়। দেশি জাতের সরিষার ৬০-৭০ দিনে এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ৭৫-৮০ দিনের ফলন হয়ে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর