রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে খালে ও নালায় অজ্ঞাত লাশের সারি

পাল্টাপাল্টি মন্তব্য দুই পক্ষের

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর খালে ও নালায় মিলছে অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবক, তরুণী ও শিশুর লাশ। অজ্ঞাত লাশের সারির ঘটনায় উদ্বিগ্ন অপরাধ বিজ্ঞানীরা। তবে পুলিশ বলছে এসব হত্যার একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো যোগসূত্র নেই। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে চলছে পুলিশ। অপরাধ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সামাজিক অস্থিরতার প্রভাবে একের পর এক হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে। এগুলো কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতা। আইনের সঠিক প্রয়োগ না হলে থামানো যাবে না এ জাতীয় লাশের সারি।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ উদ্ধার হলেও প্রতিটি ঘটনা ভিন্ন ধরনের। একটির সঙ্গে অন্যটির যোগসূত্র নেই। এরই মধ্যে কিছু ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। বাকিগুলোও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।’ জানা যায়, গত দুই মাসে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কমপক্ষে ২০টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব ঘটনার সিংহভাগ শিকার হচ্ছেন যুবক ও তরুণ। অজ্ঞাত লাশের সারিতে যুক্ত হয়েছেন কয়েকজন তরুণী এবং শিশুও। ১৯ ডিসেম্বর নগরীর ইপিজেডের খেজুরতলা থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ীর লাশ। ১৮ ডিসেম্বর পাঁচলাইশ থানা এলাকার একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ১২ ডিসেম্বর নগরীর টাইগারপাস রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ। ২ ডিসেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই দিন হালিশহর বড়পুল এলাকা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ১ ডিসেম্বর পাঁচলাইশ থানাধীন শাহ আমানত আবাসিক এলাকা থেকে বস্তাবন্দী তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৯ নভেম্বর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার এলাকা থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন নিমতলা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় দুই নবজাতকের লাশ। ২৪ নভেম্বর বন্দর এলাকা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৯ নভেম্বর নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় এক তরুণের লাশ। ১৫ নভেম্বর টাইগারপাশ এলাকা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর