সুযোগসন্ধানী অনুপ্রবেশকারী নয়, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে ত্যাগীরাই থাকবেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তৃয়ায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, যারা দুঃসময়ে দল ও জননেত্রীর পাশে ছিলেন, তারাই নেতৃত্বে আসবেন, সুযোগসন্ধানীদের নেতৃত্বে বসানোর কোনো সুযোগ নেই। গত ১২ বছরে নানা উদ্দেশ্য নিয়ে যারা আমাদের দলে প্রবেশ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে বের করে দিতে হবে।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাব উদ্দিন ফারাজী, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু বক্তৃতা করেন।

করোনা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করছেন। আপনারা দেখেছেন, সম্প্রতি করোনা মোকাবিলা নিয়ে ব্লুমবার্গ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে উপমহাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। সমগ্র বিশ্বে করোনা মোকাবিলা দক্ষতায় বাংলাদেশ ২০তম স্থানে রয়েছে। আমরা করোনাকে কতটুকু সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারছি, এই রিপোর্টই তা বলে দিচ্ছে।

তথাপি এ নিয়ে আত্মপ্রসাদ নয় বরং সবাইকে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মোকাবিলায় সাফল্য অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।