নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা গতকাল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এক পর্যায়ে মেয়র প্রার্থী বিক্ষোভকারীদের মাঝে শুয়ে পড়লে তাকে ঘিরে সেখানে সমাবেশ চলে। সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বসুরহাট জিরো পয়েন্ট বঙ্গবন্ধু চত্বরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে মিছিল করে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত সভা চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী ও সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ ছাড়া দলীয় বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিতে থাকলে এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম তাকে আচরণবিধি মেনে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় তার অনুসারীরা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে নানা রকম আপত্তিকর শ্লোগান দিয়ে থাকেন। পরে বিক্ষোভকারীরা বসুরহাট জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে জড়ো হয়। এ সময় আবদুল কাদের মির্জা ঘটনাস্থলে শুয়ে পড়লে তার অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে।
সমাবেশে মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াৎ খান, সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আজম পাশা রুমেল সহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো: খোরশেদ আলম খান জানান, মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা একটানা দীর্ঘক্ষণ নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন। এর এক পর্যায়ে তাঁকে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে কিছু বলবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সভাস্থল থেকে বের হয়ে যান। এরপর তাঁর উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা প্রথমে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং পরে প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।