রংপুরের সুস্বাদু হাঁড়িভাঙা আম বিশ্ব দর্শনের পর দামের দিক দিয়ে সেঞ্চুরি করেছে। লকডাউনেও কমাতে পারেনি হাঁড়িভাঙা আমের ঊর্ধ্বগতি মূল্য। বর্তমানে রংপুরের বাজারে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। বাগানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতি কেজি। কয়েক দশক থেকে সুস্বাদের কারণে হাঁড়িভাঙা আম সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এই আম বাজারে পাওয়া যায়। রংপুরে আনুষ্ঠানিভাবে হাঁড়িভাঙা আম গাছ থেকে পারা ও বিক্রি শুরু হয়েছে ২০ জুন থেকে। প্রথম অবস্থায় হাঁড়িভাঙা আম প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে ১০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আম চাষিরা বলছেন, এই আম আর সর্বোচ্চ ১০-১২ দিন পাওয়া যাবে। এর পরে এই আমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে এক বছর। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোতে হাঁড়িভাঙা আম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তের আলোকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মততা ব্যানার্জি, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছাড়াও নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে এই হাঁড়িভাঙা আম পাঠিয়েছেন।
শ্যামপুর এলাকার আমচাষি সামছুজ্জামান বলেন, প্রথম দিকে লকডাউনের সময় গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবার হাঁড়িভাঙা আমের দাম পাওয়া যাবে না। গুজবে অনেক কম দামে বাগান বিক্রি করেছেন। এখন প্রকৃত চাষির কাছে আম নেই। দাম বাড়লেও লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।