প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের শিকার বিশ্বের ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষকে ২০৩০ সালের মধ্যে চক্ষু স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ করে দেওয়ার অঙ্গীকারে গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো ‘সকলের জন্য দৃষ্টি : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ ত্বরান্বিত করার পদক্ষেপ’ শীর্ষক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতা-বিষয়ক প্রস্তাব। ‘ফ্রেন্ডস অব ভিশন’ এর পক্ষে সাধারণ পরিষদে তা উত্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। উপস্থিত সবাই এটিকে অনন্য একটি রেজুলেশন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কারণ প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রগুলো প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিরাময়ে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। বিভিন্ন পর্যায়ের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার শিকার বিশ্বের ২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে ব্যাপকভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে জাতিসংঘে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছে ‘ফ্রেন্ডস অব ভিশন’। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রেজুলেশনটিকে বিশ্বের সব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য উৎসর্গ করেন এবং সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান যাতে দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সব জনগণকে চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় পূর্ণ প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এই রেজুলেশনটি চক্ষু সেবার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত। রেজুলেশনটিতে নেতৃত্ব দিতে পেরে বাংলাদেশ সম্মানিত বোধ করছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষ প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিয়ে বসবাস করছে। প্রতিরোধযোগ্য দৃষ্টিহীনতা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যার জন্য প্রয়োজন একটি বৈশ্বিক সমাধান। এ জন্যই আমরা আজ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি।