শিরোনাম
রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি

কুড়িগ্রামে গত তিন মাস ধরে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের অব্যাহত ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। তাই তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকার কুড়িগ্রামবাসী। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে : নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে; চলমান  ভাঙনকবলিত স্থানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করতে হবে; রাস্তায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা দিতে হবে; নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি অধিগ্রহণ করে দ্রুত ভবন ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ওই এলাকায় এখন পর্যন্ত স্কুল, মসজিদ-মন্দিরসহ হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, রাস্তা ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। এসব পরিবারের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তা ও অন্যের জমিতে। গত দুই বছরে কুড়িগ্রাম জেলার এ সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। শুধু রাজারহাটেই চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব নদীর কোথাও কোথাও ভাঙন রোধে দায়সারা কাজ করছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এক সময়ের ২ কিলোমিটারের তিস্তা এখন ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারে পরিণত হয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেজর (অব.) আবদুস সালাম, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রেজানুর রহমান, পরিবেশবিদ ও নদী গবেষক শেখ রোকন, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও বাপার নির্বাহী সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফরিদ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর