বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

গৃহকর নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে চট্টগ্রামে

প্রতিশ্রুতি রাখলেন না সিটি মেয়র

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ‘বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেভাবে যৌক্তিক হারে গৃহকর নির্ধারণ করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এক বছর পার না হতেই তিনি গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। সরকার এ আবেদন গ্রহণ করে চসিককে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নির্ধারিত গৃহকর অনুযায়ী আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চসিকের এ সিদ্ধান্তে অসন্তোষ বাড়ছে নাগরিকদের মধ্যে। নাগরিকদের অভিযোগ, মেয়র এক বছর পার হওয়ার আগেই নির্বাচনী ইশতেহার থেকে সরে এসেছেন। খাল-নালায় পড়ে মানুষের মৃত্যু, মশার যন্ত্রণায় দিনরাত সমানে অতীষ্ট হওয়াসহ নগরবাসীর অতিপ্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা যখন অধরা, তখন করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়াটা অন্যায়-অযৌক্তিক। তবে চার বছর আগে সিটি করপোরেশন ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনার কর বাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও আন্দোলনের মুখে তা স্থগিত করেছিল মন্ত্রণালয়। জানা যায়, চসিক ২ জানুয়ারি পঞ্চবার্ষিকী গৃহকর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার ‘পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার সংক্রান্ত’ শীর্ষক একটি চিঠি দেয় চসিককে। চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হবে না, শুধু করের আওতা বাড়ানো হবে। যেমন কারও যদি একতলা বাড়িটি একতলাই থাকে, তাহলে আগে যা দিতেন সেই হোল্ডিং ট্যাক্সই দেবেন। কিন্তু যদি সেটি চারতলা হয়, তাহলে বাকি তিনতলার ট্যাক্সটা দিতে হবে।

 তিনি বলেন, কারও করে অসঙ্গতি থাকলে আপিল করার সুযোগ আছে। আপিল করলে তা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে। করদাতা সুরক্ষা পরিষদের মুখপাত্র হাসান মারুফ রুমী বলেন, ‘চসিক বর্তমানে যে হারে গৃহকর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে তাতে করে বাড়িওয়ালাদের হয়তো সবকিছু ছেড়ে জঙ্গলে চলে যেতে হবে অথবা আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচির মাধ্যমে নাগরিক অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সাবেক মেয়রের সময়ও পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। এবারও সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আন্দোলন করেই ঠিকে থাকতে হবে। কারণ ২০১৭-১৮ সালের মূল্যায়ন অনুসারে বর্ধিত কর দেওয়া নগরবাসীর পক্ষে অসম্ভব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর