শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হলো বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের পাঁচ দিনের ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের সমাপনী আয়োজনে অতিথি ছিলেন নসরুল হামিদ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সীমা হামিদ। পরিষদের সভাপতি সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীরা।

সমাপনী আয়োজনের শুরুতেই অন্তর মম বিকশিত করো অন্তর হে, দাও শৌর্য দাও বীর্য হে উদারনাথ এবং আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে’ এই তিনটি কবিতার সম্মিলিত কণ্ঠে কোলাজ পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পীরা। বাচিকশিল্পী আহকামউল্লাহর সঙ্গে এ সময় কণ্ঠ মেলান মঞ্চে উপস্থিত আবৃত্তিশিল্পীরা। এরপর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীদের।

তার সেই স্বীকৃতি হিসেবে তিনি স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। আবৃত্তিশিল্পের জন্য এটা এক গর্বের অর্জন। এই পথে যারা হাঁটছে আমরা তাদের পথে হাঁটার সঙ্গী হওয়ার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি সেটা বলার ভার সব আবৃত্তিশিল্পীর ওপর ছেড়ে দিলাম। প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে আবৃত্তিকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। সেই আন্দোলনের ফসল হিসেবে ২০১১ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আবৃত্তি বিভাগ যুক্ত করে। এবার ২০২০ ও ২০২১ সালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবৃত্তি পদক’ প্রদান করেছি। এখন থেকে প্রতি বছর আমরা আবৃত্তিশিল্পীরদের এই পদক প্রদান করব।

সমাপনী আয়োজনে আবৃত্তিশিল্পীদের সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি নসরুল হামিদ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সীমা হামিদকে প্রদান করা হয় ‘উৎসব  স্মারক’। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ৫০  গুণী  শিল্পী। ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত থেকে পাঁচ দিনের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।