সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

বীরত্ব ও সাহসিকতার পদক পাচ্ছেন ৪০ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দফতরে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে)। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত থেকে বর্তমান সরকার প্রবর্তিত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য এ বছর ৪০ জন পদক পাচ্ছেন।

পদকপ্রাপ্তরা হলেন : বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক- ক্যাপ্টেন শেখ মো. জসিমুজ্জামান, কমান্ডার এম ইমাম হাসান আজাদ, লে. কমান্ডার এম আলীমুল ইসলাম, লে. কমান্ডার শেখ মাহমুদ হাসান, লে. কমান্ডার আমিরুল হক, লে. কমান্ডার ওয়াসিম আকিল জাকী, মোহাম্মদ সাহ জামাল এম মামুনুর রশিদ, মো. আলী হোসেন এবং শাওন আহম্মেদ।

প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক : ক্যাপ্টেন গাজী গোলাম মোর্শেদ, লে. কমান্ডার মো. সাইয়েদুল মোরসালিন, লে. কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি, লে. এম আতাহার আলী, এম খলিলুর রহমান মিঞা, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন সরকার, এম মনিরুজ্জামান, মো. তারেকুল ইসলাম, কাঞ্চন দেবনাথ এবং মো. রাশেদুজ্জামান।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক : ক্যাপ্টেন মাসুদুল করিম সিদ্দিকী, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসান, কমান্ডার এম জহিরুল ইসলাম, কমান্ডার মোহাম্মদ সাজিদ আতাউর রহমান, লে. কমান্ডার মো. নাদিম চৌধুরী সজিব, এম আবদুল মালেক, মো. রুহুল কুদ্দুস, মো. বোরহান উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং মো. সাদ্দাম হোসেন।

প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক : কমান্ডার শহিদুল ইসলাম, কমান্ডার এম আবু সাঈদ, কমান্ডার মো. নূর হাসান, সার্জন কমান্ডার তানভীর আহমেদ, এম জামাল হোসেন, এ টি এম তৌহিদুজ্জামান, এম সোহেল রানা, মাসুদ জমাদার, আসাদুজ্জামান ভুইয়া এবং মো. এনামুল হক।

কোস্ট গার্ড সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার দমনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও সহায়তা প্রদানের মধ্য দিয়ে কোস্ট গার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বিশ্বস্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়াও কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে বের হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।

২০২১ সালে কোস্ট গার্ড প্রায় ১১১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার চোরাচালানকৃত পণ্য আটক, ২ হাজার ২৯৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার মৎস্য ও অবৈধ জাল, ১৩৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার অবৈধ মাদক এবং ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ করে। এ ছাড়াও করোনাকালীন ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউন ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন এবং শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কোস্ট গার্ড।

কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আবদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন আধুনিক জাহাজ, ঘাঁটি ও জলযান সংযোজনের মাধ্যমে বর্তমানে কোস্ট গার্ড বাহিনীর সক্ষমতা অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য উজ্জীবিত ও বদ্ধপরিকর। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

প্রসঙ্গত, ৭১০ কিমি দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জীবন ও সম্পদ রক্ষাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ‘গার্ডিয়ান এট সি’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ১৯৯৫ সালে কোস্ট গার্ডের যাত্রা শুরু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর